আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলায় কদিন আগেই ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে এসে এক তরুণী থানার ভেতরেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এবার এক গৃহকর্মীকে নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের একজন নারী উপ-পরিদর্শকও ছিলেন।
জেলার মেহরাউনি এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক গৃহকর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়, কদিন আগেই চুরির সন্দেহে কনস্টেবল অংশু প্যাটেল ও তার স্ত্রী ওই গৃহকর্মীকে মারধর করেন। ছাড় পাননি তার স্বামীও। এখানেই শেষ নয়। পরে ওই গৃহকর্মীকে কোতয়ালি থানায় নেন কনস্টেবল অংশু। সেখানে আরেক দফা মারধর চলে। এতে যোগ দেন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, গত ২ মে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে গত বুধবার (৪ মে) নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর আত্মীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালে টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে অভিযুক্ত নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল অংশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই এ দুজনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত আসে।
ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর অভিযোগ, পুলিশের দুজন মিলে তাকে ঘর আটকে রেখে বেধড়ক পেটান। তার কান্না বা চিকৎকার যেন বাইরে বের না হয় সেজন্য কাপড় দিয়ে তার মুখ বেঁধে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ললিতপুরেই ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় এসে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় তিলকধারী সরোজ নামে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, তিন দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে চার ব্যক্তি। এ ঘটনা জানাতেই থানায় এসেছিলেন ওই তরুণী। এসময় এক পুলিশ য় অভিযোগ হওয়া এক
দিন কয়েক আগে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ললিতপুরেই। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন দিন ধরে চার ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সেই অভিযোগ জানাতেই থানায় এসেছিল সে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।